শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
Online Edition

কবি ও ছড়াকার মানসুর মুজাম্মিল গুরুতর অসুস্থ 

ফরিদ সাইদ

জনপ্রিয় জাত ছড়াকার বাংলা সাহিত্যের গৌরবোজ্জ্বল মুখ কবি মানসুর মুজাম্মিল মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রিয় এই ছড়াকারের সুস্থতা কামনায় পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া চাওয়া হয়েছে। তার প্রিয় স্বজন, লেখকবন্ধুরাও তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্নস্থানে দোয়ার আয়োজন করেছেন। কবি ও ছড়াকার মানসুর মুজাম্মিলকে সুস্থ করে তোলার জন্য এ মুহূর্তে ব্যাপক অর্থের প্রয়োজন। তাঁর চিকিৎসা সহায়তায় একটি ফান্ড গঠন করা হয়েছে। চিকিৎসা সহযোগিতায় সাধ্যানুসারে আমরা তার জন্য হাত বাড়িয়ে দিতে পারি। (ছেলে মাসরুর) পার্সোনাল বিকাশ নাম্বার- ০১৭১৪-৪৭ ৯৮ ৬৯

জনপ্রিয় ছড়াকার মানসুর মুজাম্মিল ১৯৬৬ সালের ৩০ জুলাই চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার দশনাপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা- মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মুনসুর আহমেদ। মাতা- হালিমা বেগম। শিক্ষাঃ চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চবিদ্যালয় , সরকারি বাণিজ্য কলেজ চট্টগ্রাম এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে বিকম (সম্মান ), এমকম (হিসাব বিজ্ঞান) এবং এলএলবি করেন। স্কুলজীবনে ১৯৭৬ সালে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই লেখালেখি শুরু। বিভিন্ন সাময়িকী সাহিত্যপত্রিকা ও জাতীয় দৈনিকে শুরু থেকেই লেখা প্রকাশ হয়ে আসছে। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশি অনেক পত্রিকায়ও তার লেখা প্রকাশ পেয়েছে। প্রথম লেখা প্রকাশ হয়েছে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের বার্ষিক ম্যাগাজিন কলি’তে, তিনটি পদ্য  ছাপা হয়েছিল ১৯৭৯ সালে ৯ম শ্রেণিতে থাকাকালীন।

তাঁর জীবনঘনিষ্ঠ কিছু ছড়ার কথা না বললেই নয়! যেমন- “সবার সাথে আছি আমি সবার সাথে আছি/ভোরের খোলা হাওয়ায় আমি গা এলিয়ে বাঁচি/আমি সবার সাথে আছি”। পাখিরে../তোর/জীবন বড় সোজা/আমার জীবন আমার কাছে/পাহাড় সমান বোঝা” । “মনে পড়ে মনে পড়ে/মনে পড়ে মাকে/বুকের ভেতর আমি/রেখেছি যে তাঁকে”। “পাথর ভাঙি পাথর ভাঙি /পাথর ভেঙে রাত/এই পাথরের জন্য আমার/মেলে দুটো ভাত”। “আমার সাথি কেউ হলো না/আমি আমার সাথি/রোদের চোটে পিঠ জ্বলে যায়/ঘুমায় আমার জাতি”। “ওগো আমার ছুটে চলা/সোলেমানি জিন/আমার এবং আমার জাতির/ভাগ্য বদলে দিন”। ছড়াকার মানসুর মুজাম্মিলের  ছড়াগুলো মানুষের মুখে মুখে পৌঁছে গেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তার ‘তাওয়ায় জ্বলা রুটি’। তাঁর এ পর্যন্ত প্রকাশিত বই হলো- সোনার বরণ মেয়ে, চাঁদের হাসি, তাজা খুন, এক ব্যাগ অফিসার , হারিয়ে যাবার দিন, সবার সাথে আছি, পা চালিয়ে যাও, দশ আকাশ, সুগন্ধি গাছের কাছে। 

তিনি বাংলা একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস পরিষদের সদস্য। তৃণমূল লেখক সংঘ ,নন্দিনী সাহিত্য ও পাঠচক্র , বাংলাদেশ লেখক সমিতি , গানের কবি প্রাণের কবি নজরুল, ভাষা আন্দোলন স্মৃতিরক্ষা পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। নবীন লেখকদের লেখালেখিতে উদ্বুদ্ধ করে লেখক সৃষ্টিতে অগ্রণী ভুমিকা পালন করছেন সবসময়। নবীন লেখকের নামকরণ করে পথ দেখিয়েছেন। 

তাঁর কাছে লেখালেখিতে হাতেখড়ি অনেকেই আজ প্রতিষ্ঠিত লেখক হিসেবে নিজের অবস্থান করে নিয়েছেন।

ছড়াকার মানসুর মুজাম্মিল নিয়মতান্ত্রিক জীবনে বিশ্বাসী ।  তিনি নিজেও নিয়মের মধ্যে থাকেন এবং অন্যদেরও নিয়মের মধ্যে চলতে উৎসাহিত করেন। যেমন কথা বলায়, লেখায়, চলায়, পোশাক-আশাকে সামর্থের মধ্যে পরিপাটি জীবনযাপন করেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ